
ahalgam Terror Attack: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে—এই হত্যাকাণ্ডের দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। কী ভাবে বদলা নেওয়ার কথা ভাবছে ভারত?
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে—এই হত্যাকাণ্ডের দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। (File Image)
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসারান উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৭ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত। এই নারকীয় ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই হামলার দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না। (Representative Image: AI)
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এই কাপুরুষোচিত হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তাও বেছে বেছে। ভারতের এই বার্তার পর পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, “ভারত যে কোনও সময় আমাদের উপর হামলা চালাতে পারে।” (Representative Image: AI)
ভারতীয় সেনার তৎপরতা এই জল্পনাকে আরও জোরদার করে তুলেছে। তবে এবার জানা গিয়েছে, পাকিস্তানকে যেভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আখড়া বানানো হয়েছে, ভারত সেদিকেই আঘাত হানতে চলেছে। গুলি না ছুঁড়েই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা—দুই দিক থেকে আঘাত আসতে চলেছে পাকিস্তানের উপর। (Representative Image: AI)
ভারতের দুই বড় পদক্ষেপ কী? প্রথমত, পাকিস্তানকে ফের FATF-এর ‘গ্রে লিস্ট’-এ ঢোকানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) থেকে পাকিস্তানকে যে ৭০০ কোটি ডলারের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। (Representative Image: AI)
The Indian Express-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, FATF (যা বিশ্বজুড়ে টেরর ফান্ডিং ও মানি লন্ডারিং পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা) -এর সদস্য দেশগুলির সমর্থন জোগাড় করছে ভারত, যাতে ফের পাকিস্তানকে ‘গ্রে লিস্ট’-এ ফেরা যায়। পাকিস্তান ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত FATF-এর গ্রে লিস্টে ছিল, যার ফলে তাদের বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থ সংগ্রহে বড় রকম প্রভাব পড়েছিল। (Representative Image: AI)